Course Content
প্রথম অধ্যায়ঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিঃ বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত
0/11
তৃতীয় অধ্যায়ঃ সংখ্যা পদ্ধতি ও ডিজিটাল ডিভাইস
0/21
একাদশ-দ্বাদশ
About Lesson

কোনো সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত্তি বলতে ঐ সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত মোট অঙ্ক (ডিজিট) সংখ্যাকে বুঝায়।

 যে সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যাটির মান উক্ত সংখ্যা পদ্ধতির ডিজিটের অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে নির্ণয় করা হয়, তাকে পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি বলা হয়।

যে সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যার মান সংখ্যায় ব্যবহৃত অঙ্কের অবস্থানের ওপর নির্ভর করে না তাকে পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে।

 যে সংখ্যা পদ্ধতিতে  10 টি অঙ্ক (Digit) ব্যবহার করা হয়, তাকে দশমিক (Decimal) সংখ্যা পদ্ধতি বলা হয়।

যে সংখ্যা পদ্ধতিতে দুটি অঙ্ক (Digit) বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, তাকে বাইনারি (Binary) সংখ্যা পদ্ধতি বলে।

যে সংখ্যা পদ্ধতিতে  8  টি অঙ্ক (Digit) বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, তাকে অক্টাল (Octal) সংখ্যা পদ্ধতি বলে।

যে সংখ্যা পদ্ধতিতে 16 টি অঙ্ক (Digit) বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, তাকে হেক্সাডেসিমাল (Hexadecimal) সংখ্যা পদ্ধতি বলা হয়।

বিট হলো কম্পিউটারে ব্যবহৃত ও সংরক্ষিত সব ডেটার ক্ষুদ্রতম একক। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির 0 ও 1 এ দুটি মৌলিক Digit কে  বিট বলে। Binary Digit শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে বিট (Bit)।

 আটটি বিটের গ্রুপ নিয়ে গঠিত শব্দকে বাইট বলা হয়। এক বাইট সমান এক ক্যারেক্টার।

এক বাইট-এর অর্ধেককে নিবল বলে। কম্পিউটার মেমোরিতে আট বিট মিলে যে অক্টাল বাইট থাকে তার অর্ধেক  বিট নিয়ে একটি নিবল (Nibble) গঠিত হয়ে থাকে।

এক সংখ্যা পদ্ধতি থেকে অন্য সংখ্যা পদ্ধতিতে রূপান্তর করাকে সংখ্যা পদ্ধতির রূপান্তর বলা হয়।  

ধনাত্মক বা ঋণাত্মক চিহ্ন বোঝানোর জন্য সর্ববামে ব্যবহৃত একটি বিটকে চিহ্ন বিট (Sign bit) এবং চিহ্নযুক্ত সংখ্যাকে চিহ্নিত | সংখ্যা বা সাইন্ড নাম্বার (Signed number) বলা হয়।

কোনো ধনাত্মক সংখ্যাকে ঋণাত্মক সংখ্যায় বা কোনো ঋণাত্মক সংখ্যাকে ধনাত্মক সংখ্যায় পরিবর্তন করাকে নিগেশন (Negation) বা বিপরীতকরণ বলা হয়।

কোন বাইনারি সংখ্যার প্রতিটি বিটকে পূরক করে বা উল্টিয়ে যে সংখ্যা পাওয়া যায়, তাকে ১ এর পরিপূরক বলা হয়।

কোন বাইনারি সংখ্যার প্রতিটি বিটকে পূরক করে বা উল্টিয়ে যে সংখ্যা পাওয়া যায়, তাকে ১ এর পরিপূরক বলা হয়।  ১ এর পরিপূরক  সাথে ১  বাইনারি নাম্বার সিস্টেমে যোগ করলে যে সংখ্যা পাওয়া যায়, তাকে ২ এর পরিপূরক বলা হয়।

কম্পিউটার সিস্টেমে ব্যবহৃত প্রতিটি বর্ণ, সংখ্যা বা বিশেষ চিহ্নকে পৃথক পৃথকভাবে সিপিইউকে বোঝানোর জন্য বাইনারি বিট (0 বা 1)-কে রূপান্তর করে বিভিন্নভাবে সাজিয়ে যে অদ্বিতীয় সংকেত তৈরি করা হয় তাকে কোড বা কম্পিউটার কোড বলে।

দশমিক সংখ্যার প্রতিটি অঙ্ককে সমতুল্য 4 বিট বাইনারি সংখ্যা দ্বারা প্রতিস্থাপন করার পর প্রাপ্ত কোডকে BCD কোড বলা হয়। BCD শব্দ সংক্ষেপটির পূর্ণ অর্থ হলো Binary Coded Decimal |

বর্ণ, অঙ্ক, বিভিন্ন গাণিতিক চিহ্ন সহ (+, -, x +) আরও কতগুলো বিশেষ চিহ্ন (!, @, #, %, &, $)-এর জন্য ব্যবহৃত কোডকে আলফানিউমেরিক কোড বলে।

ASCII হলো আধুনিক কম্পিউটারে বহুল ব্যবহৃত ৭/৮ বিটের আলফানিউমেরিক কোড, যার পূর্ণরূপ American Standard Code for Information Interchange কম্পিউটার-এর ইনপুট/আউটপুট 1 ডিভাইসে এই কোড ব্যবহৃত হয়।

 বাইনারি ডেটা বা কোডকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বা ডিভাইসে সঠিকভাবে প্রেরণের জন্য এর সাথে যে অতিরিক্ত বিট যুক্ত করা হয়, তাকে প্যারিটি বিট বলা হয়।

 EBCDIC হলো আট বিটের আলফানিউমেরিক কোড, যার পূর্ণরূপ Extended Binary Coded Decimal Information Code 1 এটি BCD কোডের নতুন সংস্করণ, যা পুরাতন IBM মেইনফ্রেম ও মিনি কম্পিউটারে ব্যবহৃত হতো।

বিশ্বের সকল ভাষাকে কম্পিউটারে কোডভুক্ত করার জন্য বড় বড় কোম্পানিগুলো একটি মান তৈরি করেছে, যাকে ইউনিকোড বলা হয়।

No Content

WhatsApp icon